সাময়িক বিরতির পর আবার উত্তপ্ত ইরানের গণবিক্ষোভ পরিস্থিতি। সরকার বিরোধী এই বিক্ষোভ থেকে এবার ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা ও ইসলামী প্রজাতন্ত্রের প্রতিষ্ঠাতা আয়াতুল্লাহ আলী খোমেনির পৈতৃক বাড়িতে আগুন দেওয়া হয়েছে। খবর দ্য গার্ডিয়ানের।
প্রতিবেদনে ব্রিটিশ সংবাদ মাধ্যমটি জানায়, দুমাস ধরে ইরানে সরকার বিরোধীরা বিক্ষোভ করে আসছেন।
এবার বিক্ষোভকারীরা পশ্চিম মারকাজি প্রদেশের খোমেইন শহরের আয়াতুল্লাহ খোমেনির পৈতৃক বাড়িতে আগুন দিয়েছে। এর কয়েকটি ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।
এসব ছবি যে খোমেনির বাড়ির তা নিশ্চিত করেছে ফরাসি সংবাদ সংস্থা এএফপি। বৃহস্পতিবার রাতের ওই ছবিগুলোতে দেখা যায়, বিক্ষোভকারীরা মিছিল করছে। এমনকি আগুন দেওয়ার পর তারা উল্লাস করছে।
গার্ডিয়ান বলছে, আয়াতুল্লাহ খোমেনি খোমেইন শহরের এই বাড়িতেই জন্মগুহণ করেছেন। খোমেইন শহরের নাম থেকে তার ডাক নাম হয় খোমেনি।
মার্কিন সমর্থিত শাহ মোহাম্মদ রেজা পাহলভির সমালোচক ছিলেন খোমেনি। এর জেরে নির্বাসিত হন তিনি। ১৯৭৯ সালে ফ্রান্স থেকে ইসলামী বিপ্লবের নেতৃত্বে বিজয়ী হয়ে ফিরে আসেন খোমেনি। ১৯৮৯ সালে মারা যান তিনি। পরে তার পৈতৃক বাড়িতে খোমেনির স্মরণে একটি মিউজিয়াম প্রতিষ্ঠা করা হয়।
বিক্ষোভকারীদের আগুনে খোমেনির বাড়ির কতটুকু ক্ষতি হয়েছে তা এখনও নিশ্চিত নয়।
ইরানের সংবাদ সংস্থা তাসনিম বলছে, খোমেনির পৈতৃক বাড়িতে কোনো অগ্নিকাণ্ডর ঘটনা ঘটেনি। ঐতিহাসিক এই বাড়ির দরজা দর্শনার্থীদের জন্য সবসময় খোলা।
মারকাজি প্রদেশের ডেপুটি গর্ভনর বেহনাম নাজারির উদ্ধৃতি দিয়ে সংবাদ সংস্থাটি জানায়, অতিবিপ্লবী মিডিয়া মিথ্যা তথ্য ছড়িয়ে অশান্তি সৃষ্টির চেষ্টা করছে। পুড়িয়ে ফেলা সেই মিথ্যার মধ্যে একটি ছিল। ইমাম খোমেনির ঐতিহাসিক বাড়ি ইরানিদের কাছে আধ্যাত্মিক জায়গা।
গত সেপ্টেম্বর গ্রেপ্তার হওয়া ২২ বছর বয়সি কুর্দি তরুণী মাহসা আমিনি পুলিশ হেফাজতে মারা যাওয়ার পর থেকেই ইরান বিক্ষোভ উত্তাল হয়ে আছে। গত দুমাস ধরে দেশটিতে সরকারবিরোধী বিক্ষোভ চলছে। বিক্ষোভকারীরা আয়াতুল্লাহ রুহুল্লাহ খোমেনির উত্তরসূরি, ইরানের বর্তমান সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লা আলী খামেনি এবং তার সরকারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করছেন।